ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করলো মির্জা কাদেরের অনুসারীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ এএম, ২৮ মে,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৯ পিএম, ৫ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি (৪২) ও উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন লিটন (৪৩)। হামলার শিকার সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বুধবার (২৬ মে) রাত ১০টার দিকে বসুরহাট বাজারের থানার পোলের নুর হোসেন ম্যানশন সংলগ্ন একটি ওষুধ ফার্মেসি দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ফার্মেসি দোকানও ভাঙচুর করে। অভিযোগ উঠেছে, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা সাবেক এই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কচি বসুরহাট বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি রাত ১০টার দিকে বসুরহাট বাজারের থানার পোলসংলগ্ন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জাহান ট্রেডাস সংলগ্ন একটি ওষুধ ফার্মেসি দোকানের সামনে বসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লিটনসহ চা পান করছিলেন। ওই সময় বসুরহাট পৌরসভা থেকে মির্জা কাদেরের অনুসারী শিহাব, ওয়াসিম ডাকাত মাসুদ, শিপন, মানিক, ফখরুল, দিলীপ, কামাল, সবুজ, সজল, খান, রুমন চৌধুরী ও কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ দল অতর্কিত হামলা চালিয়ে কচিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় লিটন কচিকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে আহত করে।
মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু আরো অভিযোগ করেন, মির্জা কাদেরের অনুসারীরা এখন কোমরে অস্ত্র এবং হাতুড়ি নিয়ে বসুরহাট বাজারে মহড়া দেয়। কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্চার আ’লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। গত ২০ মে দুপুর ১টার দিকে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা কচির দোকানে ঢুকে তার ওপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মুঠোফোন ব্যস্ত পাওয় যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কচিসহ দুইজনকে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন কুপিয়ে আহত করে। আহত দুইজনকে ইতিমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।