৯ প্রকারের খাবার ফ্রিজে রাখবেন না
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৪২ এএম, ২ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:৪৪ পিএম, ৫ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫
অনেকেই ফ্রিজে সব ধরনের খাবার রাখেন। তবে সব ধরনের খাবারের জন্য ফ্রিজ নয়। কিছু কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো ফ্রিজে রাখলে খাবারের মান নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়, এমন কিছু খাবারের তালিকা দেয়া হলো।
টমেটো : ফ্রিজে পাকা টমেটো রাখেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে পাকা টমেটো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। কেননা ফ্রিজের তাপমাত্রা টমেটোর টেক্সচার ও ফ্লেভার উভয়ই প্রভাবিত হয়। তাই কক্ষ তাপমাত্রায় রাখাই উত্তম। কেউ যদি কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা টমেটোর সঙ্গে ফ্রিজে রাখা টমেটোর স্বাদের পার্থক্য করে, তাহলে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখা টমেটোর স্বাদ পাওয়া যাবে। আর ফ্রিজে রাখা টমেটোর স্বাদে ব্যাপক অবনতি দেখা যাবে।
পাউরুটি : ফ্রিজে পাউরুটি রাখলে এতে ছত্রাক না ধরলেও এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই পাউরুটিকে ফ্রিজে না রাখাই উত্তম।
আলু : আলু কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। রেফ্রিজারেশন আলুর স্টার্চকে দ্রুত সুগারে পরিণত করে। ফ্রিজে রাখা আলু ফ্রাই করা হলে এসব সুগার ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কেমিক্যাল অ্যাক্রিলামাইড উৎপাদন করতে পারে। আলু শীতল ও অন্ধকার স্থানে রাখতে হবে। আর অন্ধকারে রাখলে বিষাক্ত হবে না।
মিষ্টি কুমড়া : মিষ্টি কুমড়া যদি ফ্রিজে না রেখে ঘরের ঠান্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখা যায়, তাহলে কুমড়ার ভেতরটা সুরক্ষিত থাকবে। কক্ষ তাপমাত্রায় এই সবজিটা মাসের পর মাস সংরক্ষণ করা যাবে। আর যদি ফ্রিজে রাখা হয়, তাহলে ভেতরটা দ্রুত খারাপ হয়ে যাবে।
কফি : কফি ফ্রিজে রাখলে ফ্রিজে রাখা অন্যান্য খাবারের ফ্লোভারটা টেনে নেয়। ফলে ওইসব খাবারের স্বাগ ও গন্ধ বদলে যায়। তাই কফিকে ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
জেলি : জেলি ফ্রিজে রাখলে এর মধ্যে থাকা প্রিজারবেটিবস দানা বেঁধে যায়। তাই ফ্রিজে জেলি সংরক্ষণ না করাই ভালো।
কলা : কাঁচা কলাকে ফ্রিজে রাখলে দ্রুত পাকে না। এছাড়া কলা থেকে গ্যাস বের হয়ে অন্যান্য ফল পেকে যায়। কলাকে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখলে দ্রুত পেকে যায়। তাই ফ্রিজে না রেখে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখাই ভালো।
পেঁয়াজ : গোটা পেঁয়াজকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। তবে খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজকে ফ্রিজে রাখা যাবে। একইভাবে খোসা না ছাড়ানোর রসুনকেও ফ্রিজে রাখা যাবে না।
মধু : মধু ফ্রিজে না রেখে কক্ষ তাপমাত্রায় রাখুন। কেননা ফ্রিজে মধু রাখলে বেমি ঘনীভূত হয়। ব্যবহার করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ফ্রিজে মধু সংরক্ষণ না করাই ভালো।