হিরু-হুমায়ুন গুমের সাড়ে সাত বছর পরও আতঙ্ক কাটেনি লাকসামের বিএনপি নেতাকর্মীদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২২ পিএম, ২৩ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২০ এএম, ১৪ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫
লাকসামের বিএনপির দুই শীর্ষনেতা হিরু-হুমায়ুন গুম হওয়ার সাড়ে সাত বছরও পার হলেও এখনো আতঙ্ক কাটেনি এ অঞ্চলের সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপি নেতাকর্মীদের। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সারাদেশে উত্তাল আন্দোলনের সময় ওই আন্দোলনে সহিংস ঘটনায় চিকিৎসাধীন লাকসামের কয়েকজন আহত নেতাকর্মীকে দেখতে কুমিল্লা জেলা সদরের একটি হাসপাতালে যাওয়ার পথে র্যাব পরিচয়ে সাবেক এমপি, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি, লাকসাম বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু ও লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সভাপতি, লাকসামের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির পারভেজকে তাদের ব্যবহৃত গাড়ী থেকে র্যাবের গাড়ীতে তুলে নেয়া হয়। সেদিন থেকে গত সাড়ে সাত বছর লাকসাম বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা নিখোঁজ। অদ্যবধি বাংলাদেশের কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সন্ধান দিতে পারেনি। তারা কি জীবিত আছেন নাকি মেরে ফেলা হয়েছে তাও জানেনা তাদের পরিবার বা দলের কেউ। তাদের সন্ধান বা মুক্তির দাবীতে বিএনপি এবং অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এ দুই নেতা গুম হওয়ার পরপরই লাকসামের সর্বাধিক জনপ্রিয় দল বিএনপি দিন দিন নিস্তেজ হতে থাকে। দীর্ঘ এই সাড়ে সাত বছরে বার বার দল এবং অঙ্গসংঠন সমূহের কমিটির পরিবর্তন হলেও লাকসামের বিএনপি নতুন করে আর আলোর মুখ দেখেনি। সর্বদা ভয়াবহ অজানা আতঙ্কে এখানকার বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে স্থানীয় পর্যায়ের সকল নেতারা সবধরনের প্রতিকুলতার মাঝেও সবসময় শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করতে রাজনীতির মাঠে থেকে তাদের সাংবিধানিক এবং গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
হিরু-হুমায়ুন বিহীন ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত লাকসাম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে গুম হওয়া হুমায়ুন কবির পারভেজ পত্নী শাহনাজ আক্তারের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়। ওই নির্বাচনে শাহনাজ আক্তারের পক্ষে লাকসাম পৌরবাসীর গনজোয়ার দেখে নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করে বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে শাহনাজ আক্তারের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেয়।
২০১৬ সালে হিরু-হুমায়ুন বিহীন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জননেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি ফরমায়েশি রায়ের বিরুদ্ধে সাইফুল ইসলাম হিরুর মালিকানাধীন ফ্লাওয়ার মিলে আয়োজিত একটি বিক্ষোভ সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি চালায় লাকসামের যুবলীগ ছাত্রলীগ। সহিংস ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পান সাবেক এমপি কর্ণেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজীম। ওই সহিংস ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ নুর উল্লাহ রায়হান, প্রচার সম্পাদক ইয়াছিন আলী, ছাত্রদল নেতা রায়হান আহমেদ সুমন সহ আরও অনেকে। এ ঘটনার পর বলা যায় লাকসামের বিএনপি ভয় আর আতঙ্কে অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে যায়।
উল্লেখিত ঘটনায় ভয় আর আতঙ্কে দীর্ঘদিন দল নিস্তেজ থাকার পর ২০১৬ সালে বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও দানবীর মোঃ আবুল কালাম দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প-বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর লাকসামের স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠন সমুহের নেতাকর্মীরা অনেকটাই নতুন করে উজ্জীবিত হয়। আবুল কালাম নানান প্রতিকুলতা ও নির্যাতন নীপিড়নে আতঙ্কিত সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে লাকসামের বিএনপিকে পূর্বের জনপ্রিয়তার জৌলশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করেন। লাকসাম বাজারে তিনি তাঁর নিজস্ব বাসভবনকে বিএনপির অফিস হিসেবে রুপান্তরিত করেন। নেতাকর্মীদের আনাগনায় ওই অফিস সর্বদাই তখন সরগম থাকতো।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে লাকসামের বিএনপি তখন ধীরে ধীরে পূর্বের ন্যায় উজ্জীবিত হতে শুরু করে। মোঃ আবুল কালামের প্রচেষ্টায় লাকসামের বিএনপির এমন অগ্রগামীতা দেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আবারও পূর্বের সহিংস রুপে ফিরে যায়। একাধীক বার মোঃ আবুল কালামের বাসভবনে (লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কার্যালয়) হামলা করা হয়। ওই সময়ে অফিস খোলাতো দুরের কথা অফিসের সামনে বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে দেখলেও যুবলীগ ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডারা হুমকি ধামকি এবং কখনো কখনো আক্রমনও করতো। নিজেদের নিরাপত্তা কথা চিন্তা করে এক সময় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ওই অফিস বিমুখ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অনেকটা নিরুপায় হয়ে মোঃ আবুল কালামের ওই বাড়ীটি (বিএনপি অফিস) অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এরমধ্যে লাকসামে কয়েকটি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কিন্তু ওই নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান মেম্বার প্রার্থীদের নিশ্চিত বিজয় জোর করে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে পরিবেশ অনুকুলে না থাকা সহ নানান প্রতিকুলতায় অনেকটা বাধ্য হয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম। ওই নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান সাবেক এমপি, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কর্ণেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজীম। ঢাকা থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে তাঁর নিজবাড়ী থেকে তিনি একদিনের জন্যও বের হতে পারেন নি। এমনকি ওই সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা বা নিকটাত্মীয়দের জানাযায় অংশ নিতেও কর্ণেল আজিমকে বাঁধা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে কর্ণেল আজিমের বাড়ীতে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর করে বেঁধে রাখত ওই সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাদের নেতৃত্বে গঠিত সশস্ত্র হেলমেট বাহিনী। নির্বাচনকালীন সময়ে তখন পুরো নির্বাচনী এলাকায় প্রায় তিন শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ীঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলায় কয়েকশ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আনুমানিক ১০/১২ টি গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, স্থানীয় বিএনপি নেতা আবুল হাসেম মানুুু, আব্দুর রহমান বাদল, তাজুল ইসলাম খোকন, আবুল হোসেন মিলন, হাজী ইব্রাহিম, নুর হোসেন, কাজী আব্দুর রশিদ, বেলাল রহমান মজুমদার, মনির আহমেদ, ইয়াছিন আলী, যুবদল নেতা মোশারফ হোসেন মুশু, জিল্লুর রহমান ফারুক, মাহবুবুর রহমান মানিক, আবু বকর সিদ্দীকি মিল্টন, সোহেল, শ্রমিক দল নেতা বাবুল মিয়া, সফিউল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাসুদ রানা বেলাল সোহেল আরমান সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় সকল নেতার বিরুদ্ধেই রাজনৈতিক মামলা দেয়া হয়েছে। এসব মামলায় আসামী হয়ে দলের কেন্দ্রীয় শিল্পী বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম সহ অনেককেই বেশ কিছুদিন জেলে থাকতে হয়েছে।
সর্বশেষ বর্তমান লাকসাম পৌরসভা বিএনপির যুগ্ন-আহবায়ক সাংবাদিক মনির আহমেদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ের একটি গায়েবী মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারে মনিরের নাম না থাকলেও ২০১৯ সালে লাকসাম থানা পুলিশ কর্তৃক আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে মনিরের নাম অন্তুর্ভুক্ত করা হয় এবং গত বছর নভেম্বরে মনিরের বিরুদ্ধে ওই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়। গ্রেফতার আতঙ্কে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি আদালতে আত্বসমর্পন করে সাংবাদিক মনির আহমেদ জামিন লাভ করেন। এর আগে গত ২০ রমজান (০৩ মে) মনিরকে পুলিশ পরিচয়ে তার নিজ বাড়ী থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে একদল দুর্বত্ত।
এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে লাকসামের বিএনপি নেতাদের কাছে গ্রেফতার মানেই ভয়াবহ আতঙ্ক, কারন ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর লাকসাম বিএনপির দুই শীর্ষনেতা হিরু-হুমায়ুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার পর গত প্রায় সাাড়ে সাত বছরেও তাদের সন্ধান মিলেনি। এমন বিভৎস নির্মম ঘটনায় এ অঞ্চলের বিএনপি নেতারা গ্রেফতারের কথা শুনলেই ভয়াবহ আতঙ্কে ভোগেন। তাদের ধারনা বিএনপি নেতা বা কর্মী হওয়ার অপরাধে কোন কারনে গ্রেফতার হওয়ার পর তাদেরকেও হয়ত হিরু-হুমায়ুনের মত গুম হওয়ার পরিনতি ভোগ করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে দলটির শতভাগ জনপ্রিয়তা থাকলেও গুম বা গুপ্ত হত্যা হওয়ার ভয়ে এখানকার নেতাকর্মীরা সর্বদাই আতঙ্কিত থাকেন। লাকসামের অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের মতে হিরু-হুমায়ুনের গুম বা নিরুদ্দেশের বিষয়টি লাকসামের বিএনপি নেতাকর্মীদের আতঙ্কিত করে রেখেছে। এই ঘটনার সাড়ে সাত বছর পার হলেও আজও লাকসামের বিএনপি নেতাকর্মীদের এই আতঙ্ক কাটেনি আর এই আতঙ্ক যে পর্যন্ত না কাটবে সে পর্যন্ত লাকসামের বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা পাবেনা।
এ বিষয়ে লাকসামের স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, “হিরু-হুমায়ুন গুম হওয়ার পর থেকে আমরা সত্যিকার অর্থেই আতঙ্কিত। আমরা ৫/৭ জন কোথাও একসাথে দাঁড়াতে পারিনা, বসতে পারিনা। আমাদের অঙ্গসংগন সমূহের নেতাকর্মীরা কেউ হোটেল রেস্তোঁরায়ও বসতে পারেনা। গত বছর ২৭ অক্টোবর আমাদের শীর্ষ অঙ্গসংগন যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকিতে প্রায় ৫ হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে বিকাল ৪টার যুব সমাবেশ সকাল ৮টায় পন্ড করে দেয় যুবলীগ ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা। ওই দিন সকাল বেলায় আমাদের সামনেই ওই অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে নির্মিত তোড়নটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তছনছ করা হয়।
গত ডিসেম্বরে লাকসাম পৌরসভা নির্বাচনের শুরুতেই আমাদের সম্ভাব্য মেয়র কাউন্সিলর প্রার্থীদের উপর প্রকাশ্য এবং গুপ্ত হামলা শুরু হয়। পরিস্থিতির অবনতি দেখে একপর্যায়ে আমরা পৌরসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। যার ফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র কাউন্সিলররা সকলেই বিনা প্রতিদন্ধীতায় নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গত ৩০ মে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপনও পন্ড করার জন্য লাকসাম বাজারের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা। সংঘাত এড়িয়ে লাকসাম শহরকে শান্ত রাখতে আমরা কৌশলে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়ার শাহাদাৎবার্ষকী উদযাপন করি” স্থানীয় বিএনপি নেতারা আরও বলেন, “বিএনপি নিষিদ্ধ সংগঠন নয়, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বির উত্তম খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিএনপি ৪ বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। দমন নীপিড়ন করে বিএনপিকে আর খুব বেশী দিন দমিয়ে রাখা যাবেনা। আমরা লাকসামে শান্তিপূর্ন ভাবে স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ চাই। আমাদের অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, জননেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমুলক সকল মামলা প্রত্যাহার চাই। পাশাপাশি লাকসামে আমাদের দুই শীর্ষনেতা সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু ও হুমায়ুন কবির পারভেজের দ্রুত সন্ধান ও মুক্তি চাই।