প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ীতে কমিশনার আসার আগেই তড়িঘরি করে ছাই দিয়ে ভরাট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৫ পিএম, ৯ জুলাই,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:০৯ এএম, ১২ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫
‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগানকে সামনে রেখে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রথমধাপে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ১০০টি ভুমি ও গৃহহীন পরিবার। এরমধ্যে সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনী (তারাপুর) মাঠে ১৪ টি পরিবার স্থান পেয়েছে। প্রথমধাপের সবকটি ঘর ঠিক থাকলেও সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনী (তারাপুর)এ অপরিকল্পিত ভাবে নিচু জমিতে ১৪টি ঘর নির্মান করা হয়। নিচু জমিতে এসব ঘর নির্মান হওয়ায় সম্প্রতি কয়েক দিনের আকাশের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে দাড়াই। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ীগুলো রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের পরিদর্শনে আসার খবরে উপজেলা প্রশাসন তরিঘরি করে চাতালের ছাই,ছ’মিলের কাঠের গুড়া ও বালু দিয়ে কোন রকম ভরাট করে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাড়ীর আঙ্গিনা। গত(৮ জুলাই) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসব ঘর পরিদর্শন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম খান রাজু,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আমির হোসেন,সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু। পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ন কবীর গণমাধ্যেম কর্মিদের বলেন, এই আশ্রয়ন প্রকল্পে যাঁরা বসবাস করছেন তাঁরা যেন মানসম্মত পরিবেশে বসবাস করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে। কিভাবে এখানে আশ্রয়ন প্রকল্প হলো তা খতিয়ে দেখা হবে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সচেতন মহল বলেন, উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে উঁচু খাস (সরকারি) জায়গা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা মনগড়া ভাবে ছাতনী (তারাপুর) মোড়ে ঘর নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছেন। তারা আরো জানান, সারাদেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও অবহেলায় সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। শুনেছি আদমদীঘি উপজেলাও সেই তালিকায় রয়েছে। আশা করি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের পরির্দশনের মধ্য দিয়ে অসহায় সুবিধাভোগীদের ভোগান্তি কাটবে।