নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ফটকে দায়িত্বরত দুই আনসার সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৬ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৩৫ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মূল ফটকে দায়িত্বরত অবস্থায় মনসুর আহম্মদ (৩৫) ও মিল্লাত হোসেন (৪০) নামে দুই আনসার সদস্য ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় এ ঘটনা ঘটে। সাথে সাথে আহত আনসার সদস্যদের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত মিল্লাত হোসেনকে জরুরি অস্ত্রপচার করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অপর আহত আনসার সদস্য মনসুর আহম্মদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত আনসার সদস্য মিল্লাত হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর রমিজ গ্রামের ছিদ্দিক উল্লার ছেলে ও মনসুর আহম্মদ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বানুয়া গ্রামের রুস্তম বেপারির ছেলে।
নোয়াখালী জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডেন্ট মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, হাসপাতালের প্রধান ফটকে আনসার সদস্য মনসুর আহম্মদ ও মিল্লাত হোসেন কর্তব্যরত ছিলেন। আনসার সদস্যদের প্রতি নির্দেশ ছিলো মূল ফটক দিয়ে জরুরী এ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য কোন যানবাহন যাতে ভিতরে প্রবেশ করতে না করে। এসময় হাসপাতাল সড়কের খান বাড়ির কুদ্দুস খানের ছেলে মাহফুজ খান একটি রিক্সা নিয়ে হাসপাতালের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময়য় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা তাকে বাধা দিলে প্রথমে বাকবিতন্ডা হয়। এরপর মাহফুজ সেখান থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে মাহফুজ তার কয়েকজন সহযোগী নিয়ে পূণরায় হাসপাতাল ফটকে ফিরে এসে কর্তব্যরত আনসার সদস্য মিল্লাতকে পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় অপর আনসার সদস্য মনসুর এগিয়ে আসলে তাকেও পেটে এবং হাতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মাহফুজ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আহত মিল্লাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার বুকে ও পেটে গুরুতর জখম হয়। দ্রুত অস্ত্রপচার শেষে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অপর আহত মনসুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শণ করেছি। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তকে ধরতে অভিযান চলছে।
এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, হাসপাতালে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তার দাবিতে ইন্টার্ণ ডাক্তার এসোসিয়েশন, নার্সেস এসোসিয়েশন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হাসপাতাল চত্ত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে।