ঘাটাইলে শাজাহান আকন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃত্তি প্রদান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:০২ পিএম, ৬ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় শাজাহান আকন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বৃত্তি প্রদান, নগদ অর্থ প্রদান,পুরুস্কার বিতরন ও সনদ পত্র প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. শামীম মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ৪১টি স্কুলের ৩৭৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ২৯ জনকে ট্যানেল্টফুল ও ৪৬ জন শিক্ষার্থীকে সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়।
এ ছাড়াও প্রয়াস ঘাটাইল স্কুলের অটিষ্টিক শিক্ষার্থী যাহারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের সকলকেই বিশেষ পুরস্কার, সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। নাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত বৃত্তি প্রদান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুগ্ম সচিব এ এস এম শফিউল আলম তালুকদার।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলাম, দেউলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সুজাত আলী খান, শাজাহান আকন্দ ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি ফারুকুল ইসলাম ফারুক, প্রবাসী ইউ,এস,এ(ইনক) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ফরিদুল ইসলাম খান, অল ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন লন্ডন, ইউকে শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর তালুকদার, নাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেবুন নিছা, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল বাছেদ বাচ্চু প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শাজাহান আকন্দ ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ আলমগীর হোসেন। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে শাজাহান আকন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. শামীম মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে আসছি। শুধু বৃত্তি প্রদান নয়। ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দরিদ্র, অসহায়, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যাবতীয় খরচ প্রদান, তাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আর্থিক অনুদান প্রদান, জামা- কাপড়, বই খাতা প্রদান ও কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা-মাতাকে তাদের সন্তানদের বিবাহের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করে চলছি। আমার হায়াৎ যতদিন থাকবে এবং আপনাদের সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা আরও বৃহৎ পরিসরে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেন। পরে মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।