যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী পালিত হলো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:৫৭ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আজ ৭ নভেম্বর. ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে দেশপ্রেমিক সিপাহি-জনতা এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ারউর রহমানকে জেল থেকে মুক্ত করে আনেন। একনায়কতন্ত্র ও বাকশালের হাত থেকে মুক্ত হয়ে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দেশ গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করে এই দিনেই। সেই থেকে দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে দেশের মানুষ। আবার ফ্যাসিবাদ জেকে বসলে দিবসটি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আওয়ামী সরকার। ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে এ বছর ঢাকাসহ সারাদেশে দিবসটি বর্নাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে। বিশেষ করে শহীদ জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন বিএনপির নেতাকর্মীরা র্যালি, সভা-সেমিনার করে দিবসটিকে বরণ করে নিয়েছেন।
ঝিনাইদহে বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন :
যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে ঝিনাইদহ শহরে বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া ও মহল্লা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। দুপুর নাগাদ বিশাল মাঠটি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মহাসমাবেশে পরণিত হয়। র্যালি বের হওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ, কে এম ওয়াজেদ, জাহিদুজ্জামান মনা, মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, আলমগীর হোসেন, সাজেদুর রহমান পাপপু, যুবদল নেতা আহসান হাবিব রণক, আশরাফুল ইসলাম পিন্টু, ছাত্রদল নেতা সোমেনুজ্জামান সমেন, মুশফিকুর রহমান মানিক ও মহিলাদল নেত্রী কামরুন্নাহার লিজি। সমাবেশে প্রধান অতিথি এ্যাড এম এ মজিদ বলেন, ৫ আগস্ট দেশের ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময় দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে এবং দেশের সামরিকবাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা এমনি এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি যখন জাতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সকল মুক্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছিল। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জে. খালেদ মোশাররফ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেছিল। তখন আমাদের দেশপ্রেমিক সিপাহী ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ নভেম্বর রাজপথে নেমে খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হেফাজত করেছিল। তিনি বলেন, জাতিকে আবার ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নানামুখি চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতি আবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। ফ্যাসিবাদীরা পুনরায় ফিরে আসলে জাতি এক মহাসঙ্কটে নিপতিত হবে। এ অবস্থায় জাতিকে রক্ষা করার জন্য ৭ই নভেম্বরের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল-মত-নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সমাবেশ শেষে এক বর্নাঢ্য র্যালী ঝিনাইদহ শহর প্রদক্ষিন করে। র্যালিটি শহর ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এদিকে দিবসটি পালনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলসহ বিস্তারিত কর্মসুচি গ্রহন করা হয়।
সাতক্ষীরায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন :
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কলারোয়া উপজেলা মোড় সংলগ্ন সাবেক এমপি হাবিবের বাসভবন চত্বরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের এই দিনে দেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক জনতা আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করে। সিপাহি-জনতার বিপ্লবের পর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর দেশের অবস্থা পরিবর্তন করেন। জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করে বহদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন। তিনি রুদ্ধ বাজার অর্থনীতিকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপান্তর করেন। ফলে বাংলাদেশে নতুন অর্থনীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয়তাবাদ দর্শন সৃষ্টি করেন। এই দর্শনে দীর্ঘকাল দলটি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই ও সংগ্রম করছে। বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সংগ্রামে দলটি তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৭ নভেম্বরের পরে রাজনীতি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রাজনীতি, সেই রাজনীতি ছিল আধিপত্যবাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্রের শত্রুদের পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। সভায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব মোল্যা, যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তামিম আজাদ মেরিন, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হোসেন, সহ.সভাপতি আখলাকুর রহমান শেলি, যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাাদক গোলাম রসুল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএ হাকিম সবুজসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ তামিম আজাদ মেরিন। পরে বের হওয়া র্যালি কলারোয়া বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ভোলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস :
ভোলায় ৭ (নভেন্বর) বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষে সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করে । দুপুর ১২ টায় মহাজন পট্টির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ¦ গোলাম নবী আলমগীর ও সদস্য সচিব আলহাজ¦ রাইসুল আলমের নেতৃত্বে একটি র্যালী বেড় হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ করে। র্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ¦ গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব আলহাজ¦ রাইসুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির সোপান, বাচ্চু মোল্লা, এনামুল হক, সদর বিএনপির আহবায়ক আসিয় আলতাফ, সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারন সম্পাদক আঃ কাদের সেলিম, ছাত্রদল ভারঃসভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক হাওলাদার আল আমিন, নিয়াজ মিয়াজি প্রমুখ। পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মুনাজাত করা হয়। দির্ঘ বছর পরে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালীতে ভোলা শহরে লাখো নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। র্যালীতে বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহন করেন।
ফরিদপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
ফরিদপুরে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১-৩০ মিনিটে ফরিদপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে র্যালী পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি,জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন,জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম লিটন , জেলা বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আতাউর রশিদ বাচ্চু,দেলোয়ার হোসেন দিলা, আজম খান, এ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূইয়া রতন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ প্রমুখ। এ সময় বক্তারা ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সংঘটিত সিপাহী-বিপ্লবের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আজকের এই দিনে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে মুক্তির মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করা হয়েছিল৷ মহান এই দিবস থেকে শিক্ষা নিয়েই আগামী দিনে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে রাজনীতি করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানানো হয়। বক্তারা বলেন গত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের এ দিবস টি পালন করতে দেয়নি। ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আবারো আজকে এই দিবসটি পালন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠান থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক মিছিল সমাবেশ স্থলে এসে উপস্থিত হয়। এতে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। পরে একটি মিছিল ফরিদপুর প্রেসক্লাব থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলপুকুর ড্রীম শপিং কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সন্ধ্যা ছয়টায় শহরের অম্বিকা ময়দানে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাসাস এর উদ্যোগে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।
সাতক্ষীরায ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভা :
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে বর্ণনাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর জেলা বিএনপির আয়োজনে বেলা সাড়ে ১১ টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি,সদর উপজেলা বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, কৃষক দল, শ্রমিক দল ও থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার ও বিভিন্ন রঙের বেলুন, ফেস্টুন ও ফ্লাগ নিয়ে সুসজ্জিত হয়ে সভাস্থলে সমবেত হয়।
পরে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশ র্যালি সহকারে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড়ে মিলিত হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা মধ্য দিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি শেষ হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী'র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান হবি,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাসকিন আহমেদ চিশতি, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ শের আলী, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ আব্দুস সামাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল আহমেদ মানিক, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর শফিকুল আলম বাবু, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোঃ সালাহউদ্দিন লিটন, জেলা জাসাস এর সভাপতি শেখ জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেন প্রমুখ। এসময় জেল বিএনপি'র সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পিরোজপুরে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা :
পিরোজপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় টাউন ক্লাব ও স্বাধীনতা মঞ্চে জাতীয়তাবাদী যুবদল পিরোজপুর জেলা শাখা কতৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর জেলা বিএনপি আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। পিরোজপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো:কামরুজ্জামান তুষার এর সভাপতিত্বে ও পিরোজপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো: সালমান জাকির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আ: ছালাম বাতেন, পিরোজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ রিয়াজউদ্দিন রানা, পিরোজপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক মাসুদ, পিরোজপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ সরদার প্রমুখ। এর আগে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে শহরের টাউন ক্লাবে এসে শেষ হয়।
জামালপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন বলেছেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃতে ১৭ বছর বিএনপির অনেক নেত-কর্মীর জীবন ও ত্যাগের বিনিময়ে, হামলা-মামলা, জেল-জুলুম সমস্ত কিছু মোকাবেলা করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু এই বাংলাদেশ এখনও স্থায়ী গণতন্ত্রের রূপ পায়নি। এখনও স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা রুপান্তর করতে পারিনি। দূর্নীতিমুক্ত, দুঃশাসনমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ জনগনের বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। স্বৈরাচারের প্রেতাত্ত্বারা এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আগামী দিনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার গঠন করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান । আগামী দিনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনে দলীয় সকল কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার (৭ নবেম্বর) দুপুরে শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ৭ নবেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত র্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রিয় বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি সফিউর রহমান সফি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক খান দুলাল, খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান আহাম্মেদ খান লোটন, শফিকুল ইসলাম খান সজীব, শহর বিএনপির সভাপতি লিয়াকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জেলা বিএনপির লক্ষাধিক নেতা-কর্মীরা একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করে। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফৌজদারী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বরিশালে বিপ্লব সংহতি দিবস পালিত :
বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে গতকাল বরিশালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয় । সকালে বরিশাল দক্ষিন জেল বিএনপির উদ্যেগে সমাবেশ অনুষ্ঠত হয় । সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান,বরিশাল দক্ষিন জেলা বিএনপি আহবায়ক মোঃ আবুল হোসেন খান,সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন । পরে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বেড় হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে সদর রোড বিএনপি অফিস চত্বরে এসে শেষ হয় । এর আগে বিএনপি তার অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা জেলার বিভিন্ন ্উপজেল ও ইউনিয়ন থেকে মিছিল সহকারে এসে সমাবেশে যোগ দেয় । শহীদ মিনার চত্বর ,সদর রোড ও তার নিকবর্তী এলাকায় নেত কর্মীদের ঢল নামে, । এ ছাড়ও দিনটি উপলক্ষে বরিশাল যুবদল বর্নাঢ্য র্যালী ও সমাবেশের আয়োজন করে ।
পাঁচবিবিতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির সমাবেশ :
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রেলওয়ে ষ্টেশন পূর্ব প্রান্ত থেকে একটি বিশাল র্যালী বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে পাঁচমাথায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল গফুর মন্ডল। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব বুলু, থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নওশাদ আলী, আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বালিঘাটা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন প্রমুখ।
আমতলী বিএনপির জাতীয় ও বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিন :
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আমতলীতে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলঅনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। আমতলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম ভিপি মামুনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন ফকির, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব ও উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপির ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ কবির ফকির, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ জালাল খান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হামিম খান। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মাহবুবুল আলম সিকদার, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইলিয়াস খানসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা বিএনপির আলোচনা সভা :
বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ তেঁতুল তলা মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা বিএনপি’র আলোচনা সভা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব তুলে ধরে মঞ্জু বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা দ্বিতীয়বারের মতো এই দেশে আধিপত্যবাদকে ও তাদের দোসরদের পরাজিত করে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তাদের পরাজিত করে জিয়াউর রহমানকে সামনে নিয়ে এসে তারা নতুন এক রাজনীতির সূচনা করেন। সেই রাজনীতি ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রাজনীতি, বাংলাদেশে আধিপত্যবাদকে পরাজিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি। তারই ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পান। সেদিন জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। একদলীয় শাসনের পরিবর্তে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেয়ার এর জন্য প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বিশাল বর্নাঢ্য র্যালী নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রয়েল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে বিএনপির মহানগর, থানা, ওয়ার্ড, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের নেতাকর্মি অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সভা :
আওয়ামী সুবিধাবাদি দোষরদের বিএনপিতে জায়গা হবে না - বিএনপি'র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। গেল ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের সুবিধা নেয়া এমন কাউকে বিএনপিতে জায়গা হবে না বলে জানিয়েছেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। বিকেলে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে পাইলট উ"চ বিদ্যালয় মাঠে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিগত সরকার বিদায় নিলেও তাদের দোষরররা নতুন করে আবারো পায়তারা শুর" করছে। তবে তাদের বিএনপিতে জায়গা হবেনা। দলের দুর্দিনেরর কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে উল্লেখ তিনি বলেন, আপনারা যেভাবে দূর্দিনে পাশে ছিলেন ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধ ও অটুট থাকবেন। আমি আপনাদের সাথে বিগত দিনেও ছিলাম, আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থাকবো। গেল ১৫ বছরে যারা সুবিধা নিয়েছে। সুবিধাবাদীদের বিএনপিতে জায়গা হবে না৷ ৫ আগস্ট এর গন অভ্যুত্থান এর পেছনে নেত...ত্বে দেশ নায়ক তারেক রহমান কাজ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম খানের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম রাজুর সঞ্চালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ¯ি'ত ছিলেন, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি আহবায়ক শরিফ রফিক উজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ সোহরাব শেখ, উপজেলা বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ হির", পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মুন্সি, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল কাইয়ূম শরীফ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আসাদ শিকদার, যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজ হাসান, কামর"জ্জামান স্বপন, পৌর যুবদলের আহবায়ক সাইফুজ্জামান লিটন, সে"ছাসেবক দলের আহবায়ক মেহেদী হাসান বিপ্লব, সদস্য সচিব কাইয়ূম মুন্সি, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রহমান রইন সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সুনামগঞ্জ বিএনপি’র বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বিশাল মিছিল :
সুনামগঞ্জে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিশাল মিছিল হয়েছে। শহরের পুরাতন বাসস্টেশনের বিএনপি কার্যালয় থেকে বের হওয়া মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের হাছননগরের হোসেন বখ্ত চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সদস্য অ্যাড. মল্লিক মঈনুদ্দিন সোহেল পিপি, অ্যাড. শেরেনুর আলী, অ্যাড. নুরুল ইসলাম নুরুল প্রমুখ মিছিলে নেতৃত্ব দেন। এর আগে শহর ও শহরতলি থেকে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষকদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতা কর্মী মিছিল সহকারে এসে পুরাতন বাসস্টেশনে জমায়েত হন।
সৈয়দপুরে বিএনপি'র র্যালি ও সমাবেশ :
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি একটি বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করেছে। বিকেলে সৈয়দপুর হাইস্কুল মাঠে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে, ওখান থেকে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালী শুরু হয়ে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি কার্যালয় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। র্যালিতে বিএনপির জেলা ও উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি'র সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস ইসলাম, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আবদুল গফুর সরকার, সহ সভাপতি একরামুল হক কাজী, জিয়াউল হক জিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমানিক, এম এ পারভেজ লিটন, অনুষ্ঠান টি পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন (পাপ্পু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য শওকত হায়াত শাহ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লোকমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, সহ সভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব রশিদুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শেখ বাবলু, জেলা যুবদলের আহবায়ক তারিক আজিজ, সদস্য সচিব পারভেজ আলম( গুড্ডু), জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মিজু, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুজ্জামান দিনার, জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলী, সদস্য সচিব হামিদুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রিনু আফজাল, সাধারণ সম্পাদক রুপা বেগম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ আরমান, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রাব্বী, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, উপজেলা আহবায়ক ময়নুল হক চৌধুরী সহ অসংখ্য স্হানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নীলফামারীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
নীলফামারীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষুধ, ব্লাড গ্রুপিং, রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও জেলা বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি (বিসিডিএস) সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ কর্মসূচি পালন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মীর সেলিম ফারুক, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, মোক্তার হোসেন, রাহেদুল ইসলাম দোলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান কোকো, জাহাঙ্গীর আলম শেফু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদোয়ানুল হক বাবু প্রমূখ। এসময় বক্তারা বলেন, 'স্বাধীন দেশে আওয়ামী লীগ এমন দুঃশাসন কায়েম করেছিল যার ফলে দুর্ভিক্ষ, চুরি, ডাকাতি, হত্যাকাণ্ড, নারী নির্যাতন, শিক্ষাঙ্গনে অরাজকতা, কালোবাজারী, চোরাকারবারী এবং সবশেষে বাকশাল কায়েম করে মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করে নেয়। সময়ের স্রোতে আওয়ামী লীগের চরম ব্যর্থতার সমাধির ওপর ৭ নভেম্বর দাঁড়িয়ে যায় জনগণের আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের সোপান।' এসময় জেলা বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্ট আহ্বায়ক প্রবীর গুহ রিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আজম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শিহাবুজ্জামান চৌধুরী শিহাব, যুবদলের সাবেক নেতা আল নোমান কল্লোল, ডক্টর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) জেলা শাখার সভাপতি ডা. রেদোয়ান জুবায়ের রিয়াদ, জেলা বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি (বিসিডিএস) এর সভাপতি মাসুদ রানা মাসুম,সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আসলাম পার্ভেজ বিদ্যুৎ,নীলফামারী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব পায়েলুজ্জামান রক্সি, সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে জেলা বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং জেলা জাসাস এর আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
এ দেশের মানুষ দেশনায়ক তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছে- বিপ্লব ও সংহতি দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। তিনি বলেছেন, আমরা বিগত ১৬টি বছর বিএিনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এখন এ দেশের মানুষ দেশনায়ক তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছে। তিনি দেশে কখন আসবেন। বিকালে শহীদ জিয়া হল প্রাঙ্গনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা ও মহানগর জাসাস আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসাস এর সভাপতি স্বপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রেীয় জাসাসের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা বিএনপি নেতা আনিসুল ইসলাম সনি, জেলা আইনজীবী ফোরাম ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির। বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা আবদুস সবুর সেন্টু, এডভোকেট জাকির হোসেন, জেলা জাসাসের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জাসাস নেতা মাহবুব মোল্লা প্রমুখ। তিনি বলেন, আপনারা জানেন স্বৈরাচারী সরকার এদেশের মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। নারায়ণগঞ্জের গডফাদার এমন কোন জায়গা নেই যেখান থেকে টাকা পাচার করেনি। আজ তারা বিদেশ থেকে সেসকল টাকা দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বলতে চাই তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে এবং এসকল পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, যানজটের কারণে নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যারা পুলিশ ও ট্রাফিকের দায়িত্বে আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। জনগণ যেন এর থেকে পরিত্রাণ পান। আজ চাঁদাবাজ নেই তাহলে কেন দ্রব্যমূল্য এত বেশি কেন। এটা নিয়ে প্রশাসন কাজ করবে বলে আমরা আশা করি। নারায়ণগঞ্জের গডফাদারের বাহিনী কীভাবে আন্দোলনকারীদের বুকে গুলি চালিয়েছে আপনারা দেখেছেন। তাই মানুষ সবার আগে সেসকল অস্ত্রধারীদের বিচার চায়। অস্ত্রধারীদের অস্ত্র তুলে না নেয়া পর্যন্ত মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই।
দিনকাল/এসএস/এমএইচআর