যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী পালিত হলো জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস (৩)
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:৪৬ এএম, ৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আজ ৭ নভেম্বর. ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের আজকের দিনে দেশপ্রেমিক সিপাহি-জনতা এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ারউর রহমানকে জেল থেকে মুক্ত করে আনেন। একনায়কতন্ত্র ও বাকশালের হাত থেকে মুক্ত হয়ে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে দেশ গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করে এই দিনেই। সেই থেকে দিবসটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে দেশের মানুষ। আবার ফ্যাসিবাদ জেকে বসলে দিবসটি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আওয়ামী সরকার। ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে এ বছর ঢাকাসহ সারাদেশে দিবসটি বর্নাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে। বিশেষ করে শহীদ জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন বিএনপির নেতাকর্মীরা র্যালি, সভা-সেমিনার করে দিবসটিকে বরণ করে নিয়েছেন।
সোনারগাঁওয়ে বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা :
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে উপজেলা মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল। সোনারগাঁও উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, রফিকুল ইসলাম বিডিআর, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম সরকার, আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, সেলিম হোসেন দিপু, সোনারগাঁও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রফিক, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক ফারুক হোসেন প্রমুখ। এসময় সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মো, মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীতে কয়েকহাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। র্যালীটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদক্ষিন করেন।
বাঘায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি'র র্যালি ও আলোচনা সভা :
রাজশাহীর বাঘায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস খাতাপত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও মানুষের মন থেকে মোছেনি"এই দিবস জাতির ঐক্যের দিন। এই চেতনাকে আবার পুনঃস্থাপিত করতে হবে। খাতাপত্র থেকে মুছে ফেলা হলেও দেশের মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যাবেনা। এই শ্লোগান সামনে রেখে রাজশাহীর বাঘায় ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় শাহদৌলা সরকারী কলেজ হলরুমে আলোচনা সভা শেষে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন,ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস খাতাপত্র থেকে মুছলেও মানুষের মন থেকে মোছেনি'এই দিবস জাতির ঐক্যের দিন। এই চেতনাকে আবার পুনঃস্থাপিত করতে হবে। খাতাপত্র থেকে মুছে ফেলা হলেও দেশের মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যাবেনা। বক্তারা আরও বলেন,৭নভেম্বর বাংলাদেশের অগ্রগতি উন্নয়নের সূচনা। ৭নভেম্বরকে মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াকে এ দেশের মানুষ ভালোবাসে বলেই সিপাহি-জনতা বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেছিলেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের কল্যাণ-অগ্রগতির জন্য।'
এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক ও সাবেক পাকুড়ীয়া ইউ'পি চেয়ারম্যান,ফখরুল হাসান বাবলু। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি'র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ,জেলা কমিটির সাবেক সহঃসভাপতি ও উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক,সদস্য সচিব আশরাফ আলী মলিন,উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বাঘা পৌর বিএনপি'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুরজ্জামান সুরুজ,পৌর বিএনপি'র বহিষ্কৃত সভাপতি কামাল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফি,উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক মোখলেসুর রহমান মুকুল, উপজেলা যুবদল আহবায়ক সালেহ আহমেদ সালাম,পৌর বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ প্রমুখ। আরও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মহিলাদলের সভানেত্রী সেলিনা আক্তার শাপলা,উপজেলা যুবদল আহবায়ক শফিকুল ইসলাম শফি,পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আহসান মাহমুদ আজমল, পৌর যুবদল যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম (কালু),বাঘা পৌর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি লিয়াকত আলী,পৌর ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি বজলুর রহমান,পাকুড়িয়া ইউয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের মোল্লা,পাকুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ-সহ উপজেলা ও পৌর ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ এতে অংশগ্রহন করেন। উল্লেখ,পুর্বঘোষিত সময় সুচী অনুযায়ী সকাল ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন,পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফি।
কামারখন্দে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত :
সিরাজগঞ্জ কামারখন্দ উপজেলায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কামারখন্দ উপজেলায় বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস। কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক রেজাতে রাব্বী উথানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম সাকলাইন চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবু, বিএনপির নেতা সোহেল মাহমুদ খান, সাইদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শম্ভুনাথ দাস, সদস্য সচিব শেখ সোহেল আহমেদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এম এ আব্দুল আলীম মন্ডল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাসনাতে রাব্বী সুমন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারন সম্পাদক তানভীর ইসলাম, সরকারি হাজী কোরপ আলী কলেজ ছাত্রদল আহবায়ক শামীম সরকার প্রমুখ।
উলিপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ জিয়ার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন করা হয়। এরপর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বনাঢ্য র্যালী শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার, সহ-সভাপতি মহসিন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম হাবিব নয়ন, আতাউর রহমান সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান বাচ্চু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান আলী সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক এহসানুল করিম প্রিন্স, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক তৌফিকুর রহমান লাভলু, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব তৌফিকুর রহমান তৌফিক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান বিপুল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হামিদুর রহমান, উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হাজেরা বেগম লাকী ও পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রশিদা বেগম লতা প্রমুখ।
কেশবপুরে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
যশোরের কেশবপুরে ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে থানা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন আজাদ। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাােদর প্রিয় নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৎকালিন সময় সেনা বাহীনির অফিসার ছিলেন। খালেদ মোশাররাফসহ তাদের চক্রান্তে আমাদের প্রিয় নেতা ৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত গৃহবন্দী ছিলেন। ১৯৭১ সালে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল। তৎকালিন সময়ে বাকশালের কারনে বাংলাদেশের জনগন স্বাদীনতা ভোগ করতে পরেনি। খন্দকার মোস্তাকের নেতৃত্বে যে সরকার গঠন হয়েছিল সেই সরকারের আগের ৪টি দিন বাংলাদেশে কোন সরকার ছিল না। তেমনই আমরা দেখেছি গত ৫ আগস্টের পরের ৩টি দিন বাংরাদেশে কোন সরকার ছিল না। ৭ নভেম্বার সিপাহী জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নেতা জিয়াউর রহমানকে কারামুক্ত করেছিলেন। আমাদের প্রিয় নেতা বাংরাদেশের স্বাদীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্যে। এ দেশের জনগনের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে। তলাবীহিন ঝুড়ির মত একটা রাষ্ট্রকে ভরা ঝুড়িতে পরিনত করার জন্যে ইসলামী বিশ্বে তিনি বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আমাদের প্রিয় নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭ নভেম্বরের কারনে বাংলাদেশ জতীয়তাবাদী নামক দল গঠন হয়েছে। দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নির্মমবাভে আমাদের প্রিয় নেতাকে হত্যা করেছিল। পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া বক্তব্য রাখেন থানা বিএনপি নেতা প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কুতুবুদ্দিন বিশ্বাস, থানা বিএনপি নেতা রেজাউল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল হালিম অটল, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুুন কবির সুমন, বিএনপি নেতা আকরাম সানা, মুস্তাক আহমেদ, ডাক্তার আনিসুর রহমান, মহিউদ্দিন, থানা যুবদল নেতা আলমগীর সিদ্দিক, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামসুল আলম বুলবুল, থানা যুবদল নেতা আব্দুল গফুর, কৃষক দলের সদস্য সচিব কে এম আজিজ, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বাবুল রানা বাবু, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান বিশ্বাস, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ, থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আজিজ, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রথমেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপজেলার গৌরীঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হাসান। আলোচনা শেষে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। রি্যালীটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
ধোবাউড়ায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ , পছাত্তরের সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের ,নব্বইয়ের স্বৈরাচার পতনের গণ অভ্যূত্থান এবং সাম্প্রতিক ফ্যসিবাদ পতনের ছাত্র-গণ বিপ্লবের চেতনা-আকাঙ্খা একই সূত্রে গাঁথা।এক ও অভিন্ন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব,গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব মাইল ফলক হয়ে থাকবে। তিনি গত বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন । ধোবাউড়া উপজেলা মোড়ে অনুষ্ঠিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদী আগ্রাসী শক্তি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে ভয় পায়। তাদের রাষ্ট্রঘাতি কর্মকান্ডের কারণেই পচাত্তরের সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার সম্মিলিত বিপ্লব সাধিত হয়েছিলো। ঠিক একই কারণে এবছর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে আওয়ামী ফ্যসিবাদ ও আধিপত্যবাদের পতন হয়েছে তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের কায়েম করা ফ্যসিবাদের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র কাঠামোতে যুগান্তকারী সংস্কার সাধিত হয়েছিলো। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সূচিত সেসকল সংস্কারের সুফল জাতি পাচ্ছে।তিনি বলেন, একদলীয় বাকশালী শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্র , নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির পরিবর্তে মুক্তবাজার অর্থনীতি, বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্র ও সংগঠন করার স্বাধীনতা, আইনের শাসন, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি সাত নভেম্বরের বিপ্লবের অবদান। সাত নভেম্বর পরবর্তী শহীদ জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্রের হাত ধরেই বাকশালের কফিন থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগ স্বনামে রাজনীতিতে এসেছিলো। শহীদ জিয়া সেই সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশালী ধ্যান ধারণা এবং আধিপত্যবাদী শক্তি থেকে বের হতে পারে নাই। তারা যখনই সূযোগ পেয়েছে,তখনই আধিপত্যবাদের ইজারাদার হয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েছে, গণতন্ত্র হত্যা করেছে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে আধিপত্যবাদের বিস্তার ঘটিয়ে জনগণকে গোলামে পরিণত করতে চেয়েছে।ছাত্র জনতার গণ বিপ্লবের পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা আবার ষড়যন্ত্র করছে । তিনি সাত নভেম্বরের সিপাহী জনতার বিপ্লবের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানো আহ্বান জানিয়ে বলেন সাত নভেম্বর ও পাঁচ আগস্টের বিপ্লবের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ । পরে এমরান সালেহ প্রিন্স এর নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল ধোবাউড়া সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাক-ঢোল বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গণমিছিলে যোগ দেন। মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন,ফরহাদ রাব্বানী সুমন, বিএনপি নেতা আবদুল কুদ্দুছ ,হাবিবুর রহমান , আবুল হাসেম, ওয়াহেদ তালুকদার, চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, ৫নং গোয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম তালুকদার টোটন ,আবদুল মোমেন শাহীন, গাজীউর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন খান,রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, খলিলুর রহমান, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আবুল কাশেম ডলার, আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নয়ন মন্ডল, ছাত্র দলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন ,সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসাইন , তাঁতী দলের আহ্বায়ক ওসমান গনি ,সদস্য সচিব হাসান শাহ, ওলামা দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান ,সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদ উল্লাহ ,মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মানিক, সদস্য সচিব শামীম ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
সিংড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত :
নাটোরের সিংড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা করেছে বিএনপি। বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয় থেকে একটি র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা মুক্তমঞ্চে সমাবেশ করে। উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু'র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদৎ হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক শারফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম হোসেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কাফী, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন মিন্টু, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন প্রমুখ।
দিনকাল/এসএস/এমএইচআর