কমলগঞ্জে ১৭ বছরের নিলুফা হঠাৎ মেয়ে থেকে ছেলে রূপান্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২০ পিএম, ১১ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৬ এএম, ১৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
১৭ বছরের কিশোরী নিলুফা হঠাৎ করে মেয়ে থেকে ছেলে রুপান্তর হয়েছেন। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলি গ্রামে সম্প্রতি এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটে। নিলুফার জন্ম স্বাভাবিক মেয়ের মতোই হয়েছেন। শিশুকালে বাবা মা আদর করে নাম রেখেছিলেন নিলুফা ইয়াছমিন রিমি।
শিংরাউণমলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণী পাস করলে নিলুফা ইয়াছমিন রিমিকে শমশেরনগর হাজী উস্তার উল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। নিলুফা আট-দশটি মেয়ের মতোই স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করতেন। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন। সবার মতো নিলুফাও সব মেয়েদের সাথে খেলাধুলা করতেন। তখনো তার শারিরীক অবস্থা কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি। সংক্রমণ করোনা ভাইরাসের কারনে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়, তার ব্যতিক্রম ছিল না শমসের নগরের হাজী উল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল বন্ধ থাকার সুবাদে নিলুফা ইয়াছমিন রিমি নিজ বাড়িতেই সময় কাটাতেন, তখন মা নাজমা বেগম (৩৫) ও পিতা ছয়েফ আলীর (৪৫) চোঁখে মেয়ে নিলুফার আচরন ও শারিরীক পরিবর্তনে সন্দেহ জাগে যে তাদের মেয়ে হয়তো ৩য় লিঙ্গ।
এই ধারণা থেকেই মেয়ের প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য নিয়ে যায় কমলগঞ্জ সমাজসেবা অফিসে, কর্তব্যরত সমাজসেবা অফিসার শারীরিক প্রতিবন্ধীর কোন লক্ষন দেখতে না পেয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পরিক্ষার করে মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে আসার জন্য অবহিত করেন। নিলুফা ইয়াছমিন রিমিকে মৌলভীবাজারে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিক্ষা করে বুঝা যায় যে, নিলুফা এখন আর মেয়ে বা ৩য় লিঙ্গও নয়, সে প্রাকৃতিক ভাবে ছেলেতে রুপান্তর হয়েছে।
তবে নিলুফা ইয়াছমিন রিমির একটি অস্ত্রোপচার করতে হবে। বর্তমানে নিলুফা ইয়াছমিন রিমির নাম পরিবর্তন করে নাঈমুল ইসলাম রিফাত রাখা হয়েছে। ১ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে নিলুফা ইয়াছমিন রিমি বর্তমানে ছেলেতে রুপান্তরিত হওয়া নাঈমুল ইসলাম রিফাত ২য়। পরিবার সূত্রে জানা যায় নিলুফা ইয়াছমিন রিমি হাজী উস্তার উল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২১ইং ৮ম শ্রেণী থেকে ৯ ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। মেয়ে থেকে ছেলেতে রুপান্তরিত হওয়ার কারনে হাজী উস্তার উল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে।