

ক্ষমা না চাইলে বাংলাদেশে আসতে পারবে না মোদি : বাবুনগরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৩ এএম, ১৬ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২১ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, “যারা ইসলামের বিরোধিতা করে তারা স্বাধীনতারও বিরোধিতা করে। এরা শুধু ইসলামের শত্রু না এরা স্বাধীনতারও শত্রু। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসতে পারবে না। মোদি ইসলাম ধর্মকে ধ্বংস করতে চায়। যেকোনো কারণবশত যদি মোদি বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে তাহলে এদেশের ১৬ কোটি মুসলমান চুপ করে বসে থাকবে না। কাফনের কাপড় নিয়ে শাপলা চত্বরে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।
আজ সোমবার বিকেলে হেফাজতে ইসলাম দিরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে দিরাই পৌর এলাকার স্টেডিয়াম মাঠে শানে রিসালাত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হেফাজতের আমির বলেন, “ওই কসাই মোদি গুজরাটে, আহমদাবাদে মুসলমানদের কচু আর গাজরের মতো কচুকাটা করেছে। এমনকি ভারতের অনেক প্রাচীন মসজিদকে ভেঙে ফেলেছে। মোদি যদি সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ক্ষমা না চায় তাহলে কোনোদিনও বাংলাদেশে আসতে পারবে না। তিনি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ইসলামকে নির্মূল করার জন্য একটি কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা তাদেরকে বলে দিতে চাই যারা ইসলামকে ধংস করতে চায়, নির্মূল করতে চায় তারাই ধংস হয়ে যাবে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ইসলামকে মুছে ফেলতে নাস্তিকরা উঠেপড়ে লেগেছে। মুসলমান হিসেবে ইসলাম ও রাসূলের পক্ষে কথা বলবো। এতে কারো গায়ে লাগলে কিছুই করার নেই। বাংলাদেশেও ইসলামকে মুছে ফেলার জন্য কিছু নাস্তিক উঠেপড়ে লেগেছে। ভারতের উচ্চ আদালতে পবিত্র কোরআনের ২৬টি আয়াত বাতিলের রিট গ্রহণ হয় কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, দএটি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র। গুজরাট ও কাশ্মিরের মুসলামানদের রক্তে রঞ্জিত নরেন্দ্র মোদির হাত। দেশটির সরকার মুসলমানদের নাগরিক অধিকার হরণ করছে। ভারত থেকে তাদেরকে বিতারিত করতে চায়। কাজেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদিকে ৯০ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের ৫ মে যেভাবে শাপলা চত্বরে আমরা রক্ত দিয়ে নাস্তিকদের কবর রচনা করেছি, মোদি বাংলাদেশ সফর বাতিল না করলে প্রয়োজনে আবারো শাপলা চত্বরে জড়ো হয়ে আন্দোলনের ডাক আসতে পারে।
তিনি কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণার দাবি রেখে বলেন, ‘অবিলম্বে নবী মুহাম্মদ (স.)-এর কটাক্ষকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে মৃত্যুদন্ডের আইন পাস করতে হবে। মাওলানা আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, নাছির উদ্দিন মুনির ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব আহমদ প্রমুখ।