সোনারগাঁয়ে ১২ কেজির ওজনের মিষ্টি আলু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫০ এএম, ২ মে,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:০৩ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় সৈয়দ আলম নামে এক কৃষকের জমিতে ১২ কেজি ওজনের আশ্চর্য রকমের বড় একটি মিষ্টি আলুর ফলন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদেশের পরিবেশে জমিতে সাধারণত আধা কেজি থেকে এক কেজি ওজনের মিষ্টি আলুর ফলন হলেও আলমের জমিতে ১২ কেজি ওজনের আলুর ফলন দেখে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাটিবন্দর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাটিবন্দর এলাকার সৌখিন কৃষক সৈয়দ আলম তার দশ শতাংশ জমিতে কমলা সুন্দরী জাতের মিষ্টি আলুর লতা রোপন করেন। আলুর লতা রোপনের ৭/৮ মাসের ব্যবধানে তার রোপন করা জমিতে প্রায় ১২ কেজি ওজনের একটি মিষ্টি আলুর ফলন হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সৌখিন কৃষক সৈয়দ আলম জানান, বাড়ি তৈরী করার জন্য ১০ শতাংশ একটি জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শেষ করি। সেই জমিতেই কৃষি অফিসের পরামর্শে আলু রোপন করার পর এই বড় আলুটির ফলন হয়েছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি যে এতো বড় একটা আলু পাবো। জমি থেকে আলু তোলার জন্য মাটি খুরতে গিয়ে এটি প্রথমে নজরে আসে।
পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা সদস্য ও মানবাধীকার নেত্রী মোসাম্মৎ জাহানারা বেগম জানান, সৈয়দ আলম আমার প্রতিবেশী কৃষক। একসময় তিনি কৃষি কাজ করলেও বিদেশে প্রবাস জীবন কাটানো পর আর কৃষি কাজ করেন না। সখের বসে কিছু চাষ বাস করে থাকেন। তার জমিতে এতো বড় মিষ্টি আলু দেখে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। কারন এতো বড় আলু আমরা আর কোন দিন দেখিনি।
উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোসাম্মৎ জেসমিন আক্তার জানান, দুই বছর পূর্বে অফিস থেকে আমি কমলা সুন্দরী নামে নতুন জাতের এই আলুর লতা পেয়েছি। তার মধ্যে থেকে সৌখিন কৃষক সৈয়দ আলমের জমিতে বেলে দোয়শ মাটি থাকায় আশানুরোপ ফলন হয়েছে।
উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকায় কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল আহাম্মেদ জানান, গ্রিনীজ বুক অফ ওয়াল্ডের তালিকায় ৯ কেজি ওজনের একটি আলুর তালিকা রয়েছে। আর সোনারগাঁয়ের সৌখিন কৃষক সৈয়দ আলমের জমির মিষ্টি আলুর ওজন প্রায় ১২ কেজি। এই আলুর ওজনটি গ্রিনীজ বুকের তালিকায় অন্তরভুক্ত হওয়ার মতো।
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনিষ্টিটিউট থেকে আমরা আলুর যে লতা পেয়েছি তার থেকে দু’ তিনটি আলু বড় হয়েছে। এটি আসলে এক্সসেপশনাল।