বিএম কলেজ তালাবদ্ধ রেখেছে ছাত্রলীগকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ এএম, ৩০ মে,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:২১ এএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বরিশালে সরকারি বিএম কলেজ এবার তালাবদ্ধ করে রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা। নবনিযুক্ত উপাধ্যক্ষের যোগদান ঠেকাতে গত এক সপ্তাহ ধরে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এতে কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দিতে এসে লাঞ্ছনার শিকার হন শঙ্কর দত্ত। তখনকার ছাত্রলীগ নেতাদের এমন কর্মকান্ডে নিন্দার ঝড় ওঠে। মূল হামলাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও নামসর্বস্ব ছাত্রনেতাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন তৎকালীন সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরণ। তার কিছুদিন পর সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষকদের মারধর করে কয়েক ছাত্রলীগ নেতা। সে সময় মামলা হলেও বিচার হয়নি। এসব ঘটনায় অপরাধীদের আড়াল করতে বারবার নাম উঠে এসেছে তৎকালীন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও মেয়র হিরণের অনুসারী শিক্ষকনেতা কাইউম উদ্দিনের। সময়ের পালা বদলে সেই কাইউমই বিএম কলেজে উপাধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন হলে, তার যোগদান ঠেকাতে এখনকার ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতারা আন্দোলনে নেমে তালা দিয়েছে কলেজের সব গেটে।
বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়েছে। কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে, তবে আমি আমার বাসার নিচে অফিস করছি এবং কিছু জরুরি কাজগুলো করছি। তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কাইউম উদ্দিন। শিক্ষকদের রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ক্ষমতাসীনদের প্রভাব বিস্তারে উদ্বিগ্ন শিক্ষাবিদ ও সচেতন মহল।
বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বরিশাল বিভাগের আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে রাজনৈতিক দলাদলি, এই বিএম কলেজকে দখল করার জন্য ক্ষমতাসীনদের যে প্রবণতা তা থেকেই এই অস্থিরতা।
সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনার পেছনের মূল কারণ হলো শিক্ষক রাজনীতি। একজন শিক্ষক আরেকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার জন্য পেছন থেকে ইন্ধন যোগাচ্ছেন। কলেজে যোগদান করতে এসে প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়া এবং স্থানীয় রাজনীতির মেরুকরণে বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হতে হয় বলে দাবি শিক্ষকদের।